অনলাইন ডেস্ক : কেবল কম ঘুমই
শরীরকে ক্লান্ত করে তোলার
একমাত্র কারণ নয়। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেগুলো দেহকে ক্লান্ত করে তোলে। স্বাস্থ্যবিষয়ক
ওয়েবসাইট হেলথডটকম জানিয়েছে এমন কিছু কারণ যার ফলে সবসময় ক্লান্ত দেখায় আপনাকে। গবেষকরা বলেছন, এসব কারণগুলো এড়িয়ে চললে অনেক বেশি ফুরফুরে থাকতে
পারবেন আপনি। কারণগুলো হলো :
ব্যায়াম না করা
: নিয়মিত ব্যায়াম না করার জন্য ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন আপনি। জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি
গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যারা সপ্তাহে অন্তত তিন দিন
২০ মিনিটের জন্য ব্যায়াম করে, তারা কম অবসন্ন
থাকে এবং বেশি কর্মক্ষম থাকে।
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদের কার্ডিওভাসকুলার পদ্ধতি ভালো থাকে।
ব্যায়ামের ফলে শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ করে। আর যদি ব্যায়াম করা একেবারেই সম্ভব
না হয় তবে অন্তত একটু হাঁটুন।
পানি কম পান :
শরীরে পানির পরিমাণ দুই শতাংশ কমে গেলেও এটি আপনার কর্মক্ষমতাকে অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।
পানি শূন্যতার জন্য শরীরে অক্সিজেন কমে আসে, যা ক্লান্ত এবং
দুর্বল লাগার একটি বড় কারণ। গবেষকরা জানান, কম অক্সিজেন পেশি ও কোষকে ক্লান্ত করে তোলে। তাই ক্লান্তি
কাটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি
পান করুন।
আয়রনের ঘাটতি :
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে এটি আপনাকে আলসে করে তুলবে। কাজে মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটাবে। এনিমিয়ার
ঝুঁকি কমাতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন জাতীয় খাবার খান। আয়রনের ঘাটতি পূরণে সাদা মাংস, টফু, কুসুমসহ ডিম, বিভিন্ন ধরনের সবজি, পিনাট মাখন, বাদাম ইত্যাদি খেতে পারেন। আয়রনের
ঘাটতি শরীরে আরো অনেক রোগ তৈরি করে।
যদি আপনি বুঝতে পারেন, এই সমস্যা
হচ্ছে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে
যাবেন।
খুঁত খুঁতে ভাব
: কাজে খুঁত খুঁতে ভাব ক্লান্তির একটি অন্যতম কারণ। নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটি অব মেডিসিনের
অধ্যাপক ইরিন এস লেভিন জানান, কাজের ক্ষেত্রে যতই
পরিশ্রমী হোন না কেন সম্পূর্ণ নিঁখুত কাজ করা দুষ্কর। আর যদি আপনার লক্ষ্য
অবাস্তব হয় তাহলে তো সেটি অর্জন করা আরো কঠিন। তাই খুঁত খুঁতে না হয়ে
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভালোভাবে কাজটি করার চেষ্টা করুন।
উদ্বেগ : হঠাৎ
করে বস ফোন দিয়েছেন মিটিংয়ের জন্য। কিন্তু এর জন্য হয়তো এখনি প্রস্তুত নন আপনি। এটা আপনার
ভেতরে ভয় এবং উদ্বেগ তৈরি করছে। কেননা এর আগে মিটিংয়ে বসকে খুশি করতে পারেননি
-এসব ভাবনাগুলোও আপনাকে ক্লান্ত করে তুলতে পারে। যদি বিষয়টি এমনই হয় তবে শ্বাসপ্রশ্বাসের
ব্যায়াম করুন। নিজের সঙ্গে কথা বলুন, কীভাবে এটাকে হালকাভাবে নেওয়া যায়।
পরিস্থিতিটিকে কীভাবে সহজ করবেন এর
জন্য বন্ধুদেরও পরামর্শ নিতে পারেন।
সকালের নাস্তা
না খাওয়া : সকালের নান্তা না খাওয়ার ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন আপনি। সারারাত অনেকটা সময় না
খাওয়ার ফলে শরীরের জ্বালানি কমে যায়। তাই সকালের নাস্তা আপনার শরীরের শক্তি জোগাতে কাজ করবে।
জাংক ফুডকে না
: গবেষকরা জানান, অতিরিক্ত জাংক
ফুড বা ফাস্ট ফুড খাওয়া আপনার শরীরে কাবোর্হাইড্রেটের পরিমাণকে বাড়িয়ে দেবে; যা রক্তে শর্করার পরিমাণকে
বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে শরীর অবসন্ন হয়। তাই ভালো হয় যদি খাদ্য তালিকায় মাছ, সাদা মাংস, ভাত, আলু, ফল বা সালাদ
খেতে পারেন।
ছুটিতেও কাজ করেন : কোথাও বেড়াতে গেছেন তখনো হয় তো
মেইল চেক করছেন। ছুটির দিনেও কাজ করা বা কাজের চিন্তা আপনাকে এক
সময় ক্লান্ত করে তুলতে পারে। এটা আপনার কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। নিউজার্সির
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষক লোমবার্ডো জানান, কখনো
কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন
করে ফেলুন নিজেকে। এই বিরতি আপনাকে সৃজনশীল ও অর্থবহ কিছু করতে সাহায্য
করবে। ..........................................................................................................................................
মাওহা নিউজ নিয়মিত পড়ুন-বিজ্ঞাপন দিন-লেখা পাঠান। এই ই-মেইল আইডিতে maohanews@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন