বর্তমান জীবনে
কম্পিউটার আমাদের
কাছে
অনেকটা
বন্ধুর
মতো।
অবসর
বা
কাজের
সময়
যাই
বলুন,
কম্পিউটারকে এড়িয়ে
চলা
যেন
বেশ
মুশকিল। তবে
কম্পিউটারে দীর্ঘসময় ধরে
কাজ
করলে
কিংবা
টানা
স্ক্রিনের দিকে
তাকিয়ে
থাকলে
চোখে
মারাত্মক চাপ
পড়ে।
এ
জন্য
দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি,
চোখ
দিয়ে
পানি
পড়া
ছাড়াও
মাথা
ব্যথাসহ বিভিন্নধরনের শারীরিক সমস্যা
দেখা
দিতে
পারে।
তবে
কিছু
বিষয়
মেনে
চললে
কম্পিউটার ব্যবহারের কারণে
চোখের
যে
সমস্যা
হয়
সেগুলো
থেকে
রেহাই
পেতে
পারেন।
*কম্পিউটারে কাজ
করার
সময়
মাঝে
মাঝে
চোখের
পলক
ফেলা
ভালো
অভ্যাস। এতে
চোখে
আদ্রতার পরিমাণ
স্বাভাবিক থাকে
এবং
শুষ্কতা সৃষ্টি
হয়
না।
* যথাযথ আলো
আছে
এমন
পরিবেশে কম্পিউটারে কাজ
করলে
ভালো।
দিনের
বেলায়
কম্পিউটার ব্যবহারের সময়
মনিটরের উল্টোদিকে, মনিটরে
আলো
প্রতিফলিত হয়
এমন
দরজা
জানালা
বা
লাইট
বন্ধ
রাখুন।
কম্পিউটারটি এমন
স্থানে
ব্যবহার করুন
যেখান
থেকে
মনিটরে
আলোর
প্রতিফলন না
ঘটে।
আবার
পুরোপুরি অন্ধকার ঘরেও
কম্পিউটার ব্যবহার করবেন
না।
* কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব
সময়
পর্দার
সঙ্গে
চোখ
ও
দৃষ্টির উচ্চতার সামঞ্জস্য হতে
হবে।
যেন
আপনার
সারাক্ষণ নিচের
দিকে
তাকিয়ে
থাকতে
না
হয়,
আপনি
যেন
সরাসরি
পর্দায়
চোখ
রেখে
কাজ
করতে
পারেন
সেদিকে
নজর
দিতে
হবে।
বিষয়টি
চোখের
স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ।
* কম্পিউটার স্ক্রিনে পড়া
বা
লেখার
জন্য
ছোট
ফন্ট
ব্যবহার করবেন
না।
চোখের
জন্য
আরামদায়ক ফন্ট
নির্বাচন করুন।
কারণ
ছোট
ছোট
লেখা
চোখের
ওপর
বেশি
চাপ
সৃষ্টি
করে।
বয়স্করা এ
ক্ষেত্রে কন্ট্রোল পেনেলে
গিয়ে
ডিসপ্লেতে লিখুন
এবং
রেজুলেশন ঠিক
করে
নিন।
* কম্পিউটারের উজ্জ্বলতা সহনীয়
মাত্রায় রেখে
কাজ
করা
উচিত।
উজ্জ্বলতা বেশি
হলে
চোখের
ওপর
বেশি
চাপ
পড়ে
এবং
অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি
হয়।
* কম্পিউটারের সামনে
দীর্ঘক্ষণ ধরে
কাজ
করার
সময়
চোখ
সুরক্ষার খুব
উপযোগী
একটি
উপায়
হচ্ছে,
২০-২০-২০। প্রতি
২০
মিনিট
পর
পর
কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে
দৃষ্টি
সরিয়ে
নিন
এবং
কমপক্ষে ২০
ফুট
দূরের
কোনো
বস্তুর
ওপর
দৃষ্টিপাত করুন
অন্তত
২০
সেকেন্ডের জন্য।
চোখের
বিশ্রামের জন্য
২০-২০-২০ নিয়মটি
মেনে
চললে
চোখে
যথেষ্ট
আর্দ্রতা থাকে
এবং
চোখের
ওপর
চাপ
কমে।
* মনিটর নিয়মিত
পরিষ্কার রাখুন।
মনিটরে
জমা
ধুলোবালি দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি
করে।
ফলে
মনিটরের অক্ষরগুলো পড়তে
সমস্যা
হয়
এবং
চোখের
ওপর
বাড়তি
চাপ
পড়ে।
তাই
কম্পিউটারে ধুলো,
ময়লা
কিংবা
আঙুলের
ছাপ
পড়তে
দেবেন
না।
প্রয়োজনে মনিটর
গার্ড
ব্যবহার করুন।
লেখক : ডা. শওকত কবীর, সহকারী অধ্যাপক, চক্ষু বিভাগ, বিএসএমএমইউ