গুড় খেলে যেসব রোগ ভাল হয়


রসগোল্লা, পায়েস, সন্দেশ, পিঠে সবেতেই চাই গুড়ের মৌতাত। গুড় খেলেই ভাল হয়ে যায় মন। শুধু তাই নয়, গুড় কিন্তু পুষ্টিগুণেও ভরপুর। জেনে নিন কী ভাবে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে গুড়। অনেক জটিল রোগের ওষুধ হিসাবে কাজ করে গুড়।
১. কোষ্ঠকাঠিন্য-নলেন গুড় হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে পেট পরিষ্কার রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ ভাল কাজ করে গুড়। রুটির সঙ্গে গুড় খেলে শরীর ভাল থাকে।
২. রক্তাল্পতা-গুড়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রোজ গুড় খেলে বা খাবের গুড়ে মেশালে শরীরের আয়রনের ঘাটতি মেটে। রক্তাল্পতায় ভুগলে বা শরীরে আয়রনের অভাব হলে তাই রোজ শীতকালে রোজ গুড় খান।
৩. লিভার-শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে চাইলে রোজ ছোট এক টুকরো গুড় খান। লিভার থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে আপনাকে ঝরেঝরে ও রোগমুক্ত রাখবে গুড়।
৪. জ্বর, সর্দি, কাশি-ঠান্ডা লেগে জ্বর হলে, সর্দি-কাশির সমস্যা বা মাইগ্রেনে গরম জল বা চায়ে গুড় মিশিয়ে খান। জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যথা কমে যাবে।
৫. পিরিয়ডে মুড স্যুইং-পিরিয়ডের আগে পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, মুড স্যুইং হলে এক টুকরো গুড় খান। গুড় শরীরে এন্ডরফিন বা হ্যাপি হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। ফলে শরীরে রিল্যাক্সড ভাব আসে। মুড ভাল হয়।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-গুড়ে মধ্যে থাকা জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সংক্রমণ রোধ করে।

তবে খেয়াল রাখবেন গুড়ে কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ খুব বেশি। প্রতি গ্রামে রয়েছে চার কিলো ক্যালরি। তাই নিয়মিত গুড় খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

অনিদ্রা দূর হয় যে ৫ খাবারে



বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে ঘুম কম হওয়া বা অনিদ্রার সঙ্গে বহু বড় রোগের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।পরিমিত ঘুম আমাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য কবে।পক্ষান্তরে কম ঘুম বা অনিদ্রার ফলে হৃদরোগ, অবসাদ, ওজন বাড়া, মানসিক অস্থিরতা, চঞ্চলতা, বিরক্তি, ক্লান্তি ইত্যাদি নানা রোগ ও সমস্যা সৃষ্টি হয়।
যখন সারাদিন কাজের পর আমরা বাড়ি ফিরে আসি তখন শরীরের বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্কেত মস্তিষ্কে পৌঁছায় ও আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। কোনও কারণে সেই সঙ্কেত মস্তিষ্কে না পৌঁছলে আমাদের ঘুমে বিঘ্ন ঘটে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টার নিশ্চিন্ত ঘুম আমাদের একান্ত প্রয়োজন। না হলে বড় বিপদ অপেক্ষা করে থাকতে পারে আমাদের জন্য। তাই কোন কোন খাবার ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রার সমস্যাকে দূর করতে পারে তা জেনে নিন।
মধু : অনিদ্রা দূর করতে মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড অনুঘটকের কাজ করে ঘুম আসতে সাহায্য করে।
দই : অনিদ্রা দূর করতে দইও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। দইয়ে থাকা উপাদান হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে যা নিশ্চিন্ত ঘুম আসতে সাহায্য করে।
কলা : ভালো ঘুম আনতে বিশেষ সাহায্য করে কলা। এতে থাকা উপাদান নিউরোনকে শান্ত করে ও রাতে মস্তিষ্কের কাজকর্মকে কিছুটা কমিয়ে দেয়। এছাড়া অবসাদ কমাতেও দারুণ উপযোগী ভূমিকা নেয় কলা যা আদতে নিদ্রাহীনতার সমস্যাকেই দূর করে।
দুধ:  ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেলে ঘুম ভালো হয়। এতে থাকা ক্যালশিয়াম সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ক্লান্তি দূর হয়ে ভালো ঘুম আসতে বিশেষ সুবিধা হয়।

নানা ধরনের শস্য : যাকে ইংরেজিতে বলা হয় 'হোল গ্রেন', তাতে থাকা উপাদান সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এই সেরোটোনিন নার্ভকে শান্ত রেখে শরীরকে রিল্যাক্স করে ও সহজে ঘুম পাইয়ে দেয়।

প্রকৃত ভদ্র মেয়ের কিছু বৈশিষ্ট্য



সমাজে এমন অনেক পুরুষ আছেন যারাভদ্র মেয়ে বিয়ে করবেনভেবে বিয়েই করছেন না, অথচ বিয়ের বয়স যাচ্ছেপেরিয়ে ভদ্রমেয়েরা হচ্ছে সমাজের সৌন্দর্য।আসুন কিছু কমন বৈশিষ্ট্যদেখে চিনে নেই সত্যিকারেরভদ্র মেয়ে!
) ভদ্র মেয়েরা সর্বপ্রথমতাদের পোশাক নিয়ে খুবসচেতন থাকে। এমন কিছুপরে না যাতে করেবাহিরের কেউ চোখ তুলেতাকাতে সাহস করে। অনেকেবোরখা পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে
) ভদ্র মেয়েরা প্রেমেরব্যাপার নিয়ে খুব সিরিয়াসথাকে। তারা সচারচর প্রেমেজড়াতে চায় না, কিন্তুযদি কারো সাথে প্রেমেজড়িয়ে যায়, তাহলে মনপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেতা টিকিয়ে রাখতে
) ভদ্র মেয়েরা সবসময়বন্ধু, পরিবার এবং বয়ফ্রেন্ডকেআলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়। একটির জন্যঅপরটির উপর প্রভাব পড়ুকতা তারা চায় না।যার জন্য তাদের ঝামেলাপোহাতে হয় বেশি
) ভদ্র মেয়েদের রাগএকটু বেশি। যার উপররেগে যায় তাকে মুখেরউপর সব বলে দেয়।মনে কোনও রকম রাগ, হিংসে লুকিয়ে রাখে না।এতে অনেকের কাছে ঝগড়াটেউপাধিও পেয়ে বসে
) ভদ্র মেয়েদের রাগেরঝামেলা পোহাতে হয় বিশেষকরে তাদের বয়ফ্রেন্ডকে। এরারেগে থাকলে অযথা বয়ফ্রেন্ডকেঝাড়ে। পরবর্তীতে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেসরি বলে। যে মেয়েতার বয়ফ্রেন্ডকে সরি বলে তাহলেবুঝতে হবে সে তারবয়ফ্রেন্ডকে খুব বেশি ভালোবাসে
) ভদ্র মেয়েরা সাধারণতফেসবুকে ছবি আপলোড দেয়না। যদি দেয় তাহলেপ্রাইভেসি দিয়ে রাখে। ফেসবুকেকতিপয় লুলু পুরুষ থেকেতারা ১০০ হাত দূরেথাকে
) ভদ্র মেয়েদের বন্ধু/বান্ধবের সংখ্যা খুব সীমিতথাকে
) ভদ্র মেয়েরা আড্ডাবাজিতে খুব একটা যেতেচায় না। যার জন্যতাদের বন্ধু/বান্ধব থেকেভাব্বায়ালি/আনকালচার খেতাব পেতে হয়
) ভদ্র মেয়েরা সাধারণঘরকুনো স্বভাবের বেশি হয়
১০) ভদ্র মেয়েদের কাছে পরিবারের সম্মানটুকু সবার আগে। তারা পরিবারের সম্মানের বিরুদ্ধে কোনও কাজ কখনও করে না

যেসব বদভ্যাসের জন্য আপনার বুদ্ধির ধার কমে যাচ্ছে



কোনও বিশেষ অভ্যাসের জন্য কী আপনার বুদ্ধির ধার কমতে পারে? উত্তর, অবশ্যই। এটুকু শুনেই বেশি ঘাবড়ে যাবেন না। সবসময় একটি জিনিস মাথায় রাখবেন, সুস্থ বুদ্ধি, সুস্থ শরীরেই বসবাস করে। সুস্থ বলতে এখানে শুধু শরীর নয়, মনও বটে। অর্থাৎ শরীরের পাশাপাশি মনকেও সুস্থ রাখতে হবে। আর সেক্ষেত্রে অবশ্যই জানা দরকার কোন কোন বদভ্যাস থেকে আপনার বুদ্ধি খর্ব হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘুম: কোনও কিছুই মাত্রাতিরিক্ত করা ভাল নয়। ঘুমও নয়। অতিরিক্ত ঘুম মানসির স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই উপকারি নয়। অতিরিক্ত ঘুমের ফলে ক্রমে মস্তিষ্ক অলস হতে শুরু করে। এর ফলে মন খারপ অসুখেও পরিণত হতে পারে।
ধূমপান: ধূমপান মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজে বাধা প্রদান করে। ফলে মস্তিষ্ক তার স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। ধীরে ধীরে বুদ্ধির ধার কমতে থাকে। পাশাপাশি স্মৃতিশক্তিতেও প্রভাব পড়ে।
অপুষ্টি: অপুষ্টির জেরেও বুদ্ধি লোপ পেতে শুরু করে। কারণ মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য যে পুষ্টিগুন আমাদের প্রয়োজন তা সঠিক পরিমান আমাদের শরীরে ঢুকছে না। এই জন্য রোগা হওয়ার জন্য না খেয়ে থাকা, ক্র্যাশ ডায়েট করা একেবারেই উচিত নয়।
মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ নেওয়া: আজকালকার প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় মানসিক চাপ ক্রমশই বেড়ে চলেছে। কিন্তু অকারণে মানসিক চাপ নেওয়া অনেকের চারিত্রিক বৈশিষ্টর মধ্যে পড়ে। এর ফলে মস্তিষ্কে চাপ পড়ে, আর এর ফলে আপনার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজের গতিবিধি ব্যহত হয়।
জীবনযাপন: আপনার জীবন যদি গতানুগতিক হয়, সেক্ষেত্রেও আপনার মানসিক স্বাস্থ্যে তার প্রভাব পড়তে পারে। সচল জীবনযাপন আপনার মাথাকে অতিরিক্ত অক্সিজেন জোগায়। যা আপনার বুদ্ধিকে ঘষে মেজে তৈরি করতে সাহায্য করে।
অপর্যাপ্ত ঘুম: বেশি ঘুমও যেমন শরীরের পক্ষে ভাল না, তেমনই ৭-৮ ঘন্টার কম ঘুমও শরীরের পক্ষে ভাল না। অনেকেই আছেন, সকাল তাড়াতাড়ি কাজে বেরনো সত্ত্বেও দেরি করে ঘুমতো যান। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেরি করে ঘুমলে গভীর ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ কম থাকে। তার উপর ৭-৮ ঘন্টা ঘুম না হলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। যা আপনার বুদ্ধিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
অ্যালকোহল: অতিরিক্ত পরিমানে অ্যালকোহল সেবন করলে তার ফলে ডিপ্রেশন বা সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন থাকার সমস্যা দেখা যেতে পারে। এর ফলে আপনার মানসিক শক্তিতে প্রভাব পড়তে পারে।
মাথার ব্যায়াম: যে কোনও যন্ত্রপাতি বহুদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে তাতে জং পড়ে যায় কাজ করতে পারে না যন্ত্রপাতিগুলি। আমাদের মাথার মধ্যেও এরকম একাধিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। কিন্তু আমরা যদি নতুন কিছু শেখার মা জানার চেষ্টা না করি, মাথা যদি না খাটাই তাহলে মাথার ভিতরেরে যন্ত্রপাতিগুলোও অচল হয়ে পড়ে। ফলে ধীরে ধীরে বুদ্ধি লোপ পেতে থাকে।

একাকীত্ব:  সবসময় চেষ্টা করুন একার সঙ্গে সময় না কাটিয়ে, ভারচুয়াল লাইফের বাইরে বাস্তব জীবনে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করুন। একার সঙ্গে সময় কাটাতে থাকলে সামাজিক জীবনের অভাব আপনার মস্তিষ্কে ও বুদ্ধিমত্তায় পড়তে পারে।

Contact for ad