মানুষের কিছু ক্ষতিকর বদ অভ্যাস যা ত্যাগ করা উচিত



১। হাত দিয়ে চোখ ঘষা/রগড়ানো
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আমাদের অনেকেরই চোখ রগড়ানোর অভ্যাস আছে। ধোঁয়া, কান্না, চোখে কিছু পড়লে অথবা এমনিতেও অনেক সময় ক্লান্তি কাটাতে আমরা হাত দিয়ে চোখ রগড়ে থাকি। এবং এটি বেশ চাপ দিয়েই করে থাকি আমরা। আপনি কি জানেন, এই অতিরিক্ত ও অসতর্ক চাপের ফলে ঘষা খেয়ে আপনার চোখের ভেতরের নার্ভ অচল হয়ে যেতে পারে, এর ফলে প্রাথমিকভাবে চোখে পানি আসতে পারে ও এটি আপনার রেটিনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। বার বার এটি করার ফলে আপনি অন্ধ হয়ে যেতে পারেন। আর লেন্স পরা থাকলে এটি আরো ভয়াবহ হতে পারে। চোখ ঘষার অভ্যাস ত্যাগ করুন, আর করতেই হলে সাবধানে, আলতোভাবে করুন।
২। পায়খানা-প্রস্রাব আটকে রাখাঃ
অনেক সময় অনেকেই পায়খানা প্রস্রাব আটকে রাখেন। এটির ফলাফল হতে পারে ভয়াবহ। পায়খানা-প্রস্রাব আটকে রাখার ফলে এটি আপনার মূত্রথলী, কিডনি ও অন্যান্য স্থানে সংক্রমণ ঘটায়। তাই প্রকৃতির ডাকে সাড়া না দিয়ে আপনি কেবল অল্প সময়ের জন্যেই অস্বস্তিতে থাকেন না বরং দীর্ঘমেয়াদী অসুখসহ নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার কিডনিও।
৩। নাক খোঁটানোঃ
এটি কেবল দেখতেই বিদঘুটে নয় বরং নাক খোঁটানোর অভ্যাসের ফলে নখের ধারালো কোণা লেগে আপনার নাকের ভেতর কেটে যেতে পারে। আর নাকের ভেতরের অংশ যেহেতু সব সময় ভেজা থাকে, তাই সংক্রমণ হলে সহজে সেটা সারবে না।
৪। ব্রণ খোঁচানোঃ
আর্দ্র আবহাওয়া, দূষণের ফলে একটু আধটু ব্রণ সবারই হয়। নিয়মিত যত্নে সেরে যায় এমনিতেই। কিন্তু অনেকেই ব্রণ হলে নখ দিয়ে খুঁচিয়ে তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন।কিন্তু এতে যতটা না পরিষ্কার হয় তার চেয়ে আপনি নিজের নখের ময়লাটাই ঠেলে ঢুকিয়ে দেন আপনার ত্বকের গভীরে। এর ফলে সংক্রমণ হতে পারে আর যে দাগ তৈরী হহয়, তা চিরস্থায়ী কালো গর্তে পরিণত হতে পারে।
৫। বাইরের পোষাকেই ঘুমিয়ে পরাঃ
অফিস বা ক্লাস সেরে বাইরে থেকে এসে অনেকেই আলসেমী করে বাইরের পোষাকেই ঘুমিয়ে পড়েন। পরে হয়তো ঘুম থেকে উঠে গোসল করে ঘরের পোষাক পরেন। কিন্তু এই সময়টুকু আপনি দিচ্ছেন ঘাম ও দূষণের কারণে আপনার গায়ে ও পোষাকে লেগে থাকা জীবানুদের বংশবৃদ্ধির জন্যেই। এর ফলে আপনার দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ হতে পারে।
৬। সারাক্ষণ হেডফোনে গান শোনাঃ
সারাক্ষণ হেডফোনে গান শোনাটা আপনার অভ্যাস হয়ে থাকে যদি তবে তা একটু কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। এর ফলে ধীরে ধীরে আপনার কানে শোনার ক্ষমতা কমে আসতে থাকে ও দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যাথায় আক্রান্ত হতে পারেন আপনি।
কিছু অভ্যাস ত্যাগ করুন যেগুলো পরবর্তীতে আপনার জন্যে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। সুস্থ থাকুন।
সূত্র: প্রিয় লাইফ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Contact for ad