যেকোর্ট চত্বরে বাবা চা বেঁচেন, মেয়ে আজ সেই কোর্টেরই জজ!
ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর কোর্ট চত্বরে দীর্ঘদিন ধরেই সুরেন্দর কুমার চা বেঁচছেন। আজ মেয়েকে নিয়ে তাঁর গর্বের শেষ নেই।মেয়ে বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে-এমন স্বপ্ন আর পাঁচজন বাবার মতো তিনিও দেখেছেন। কিন্তু, কখনও কল্পনাও করেননি মেয়ে বিচারক হবে।
গর্বিত সুরেন্দর বলে চলেন, আমার ভাই তীর্থরামের কাছেই ও ছোটবেলায় মেয়ে পড়াশোনা করেছে।নানাভাবে মেয়েকে উদ্ধুদ্ধ করেছে রাম।তাই ভাইকেও এর কৃতিত্ব দিতে চান খেটে খাওয়া অতি সাধারণ পরিবারের এই মানুষটি।
যাঁকে নিয়ে সুরেন্দরের এই গর্ব চলুন শুনি সেই শ্রুতির কথা।এক চান্সেই পাঞ্জাব সিভিল সার্ভিসেস (জুডিশিয়াল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শ্রুতি জুডিশিয়াল একাডেমিতে এক বছরের প্রশিক্ষণ নিয়ে বিচারক। সুরেন্দরের কথায়, মেয়ের এই সাফল্যই আমার জীবনের সেরা পুরস্কার।
পাঞ্জাবের ছোট্ট শহর নাকোদর। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন জলন্ধর কোর্টের এই চাওয়ালা। শ্রুতি স্টেট পাবলিক স্কুল থেকে পাস করে আইন পড়েন জলন্ধরের জিএনডিইউ থেকে।এরপর পাতিয়ালার পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলএম করেছেন। এরপর ধাপে ধাপে বিচারক।
দারিদ্র যে লক্ষ্যের পথে কখনোই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা, তা আরও একবার দেখিয়ে দিলেন জলন্ধরকোর্টের এই বিচারক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন