তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বীরঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড কমিটি

এসিক ও ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশন-এর সহযোগিতায় ‘‘দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর বীরঙ্গনা সখিনা (বি.এস) সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড’’ নিম্নোক্ত তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে:

১. ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধরে রাখা ও সমৃদ্ধ করা
আনুমানিক চারশত বছর পূর্বে অর্থাৎ সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ঐতিহাসিক রণক্ষেত্রে বীরঙ্গনা সখিনা নিহত হন। মোগল আমলের ইতিহাসে সখিনার বীরত্বগাথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। স্বামীর প্রতি সখিনার গভীর ভালবাসা ও গৌরীপুরের কিল্লাতাজপুরের যুদ্ধে তার আত্মদানের স্মৃতিকে অবিস্মরণীয় করে রাখার জন্য ইলেক্টোরাল ভোটের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড প্রদান কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। রণবীর সখিনা বিবির মাজার গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রামে অবস্থিত।

২. ইলেক্টোরাল ভোটিং সিস্টেম প্রবর্তন
যোগ্যতার ভিত্তিতে ইলেক্টোরাল মেম্বারদের ভোট পাওয়ার পয়েন্ট প্রদান। পরীক্ষামূলকভাবে এর প্রয়োগ ও সাফল্য এবং ইলেক্টোরাল ভোটের ফলাফলের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের ঘোষণা।
বি:দ্র: ২০০৬ সালে ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে গবেষণা করা হয়। যার ফলে এ দেশে জাতীয় ইলেক্টোরাল কমিটি, ইলেক্টোরাল কলেজ, ইলেক্টোরাল স্কুল, ইলেক্টোরাল কমিটি ইত্যাদি ইলেক্টোরাল সংগঠন গঠন করা হয়।

৩. বিশেষ অবদানের জন্য অ্যাওয়ার্ড
বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বা বিভাগে কোন বিশিষ্টজন উল্লিখিত চার বা একাধিক ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় বিশেষ অবদান রেখেছেন, তাদের নিকট থেকে প্রোফাইল সংগ্রহ করে ভোটের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ঘোষণা করা।

আরও পড়ুন:

‘বীরঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ১০ জন গুণী

রঙ্গিলা শাহ মাজারে দুই দিনব্যাপি ফকির সাধু পাগল মজনুর মেলা




ফকির সাধু মজনুর মেলা:
উদ্ধোধন: বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন, এমপি
সার্বিক ব্যবস্থাপনায়: রমিজ উদ্দিন স্বপন, চেয়ারম্যান (মাওহা ইউপি)
সঞ্চালনায়: সাংবাদিক জহিরুল হুদা লিটন
তারিখ: ১২ ও ১৩ নভেম্বর/২০১৬
স্থান: রঙ্গিলা শাহ মাজার, কুমড়ী, মাওহা ইউপি-গৌরীপুর।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলাধীন মাওহা ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রামে সাধক শাহ সূফী হযরত ফছি পাগলা বাবার স্মরনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিন ব্যাপী ফকির সাধক পাগল মজনুর মেলা বাউল গানের আসর উল্লেখিত কুমড়ী গ্রামের শাহ সূফী হযরত আলীম উদ্দিন ওরফে রঙ্গিলা শাহ (রঃ) মাজার শরীফ সংলগ্ন এই মেলার উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন আহামেদ এমপি উপজেলার ৪নং মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন স্বপনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই মেলা বাউল আসরের আয়োজন করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত সূফী, সাধক, পাগল, মজনু, সন্নাসী বাউল শিল্পীরা এতে স্বতস্ফূর্ত ভাবে অংশ গ্রহন করেন মেলার ১ম দিন শনিবার (১২নভেম্বর) রাতে মিলাদ মাহফিল আলোচনা সভা শেষে শুরু হয় বাউল গানের আসর সাংবাদিক জহিরুল হুদা লিটনের সঞ্চালনায় এতে বাউল গান পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী কুষ্টিয়ার তৌহিদুল ইসলাম, নেত্রকোনার মদনের নুরুজ্জামান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গিয়াস উদ্দিন, উদীচীর ফেরদৌস, রফিক সরকার, রাজিব বনিক, গৌরীপুরের আব্দুর রাশিদ, শিশু বাউল শিল্পী পালাশ, সাথী প্রমুখ রবিবার বাদ মাগরিব আধ্যাত্মিক সামা, বাদ এশা বাউল সংগীত পরিবেশনা বাদ ফজর আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ২দিন ব্যাপী এই মেলা ইউপি চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন স্বপন জানান গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার পোড়াবাড়ির বিখ্যাত সাধক শাহ সূফী হযরত ফছি পাগলা বাবার স্মরণে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

তাজপুর দুর্গ সম্পর্কে জানুন

তাজপুর দুর্গ, কিল্লা তাজপুর, গৌরীপুর-ময়মনসিংহ।
তাজপুর দুর্গ  স্থানীয়ভাবে কিল্লা তাজপুর নামে পরিচিত। বোকাইনগর দুর্গ থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এটি অবস্থিত। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে, সুলতান দ্বিতীয় সাইফুদ্দীন ফিরুজ শাহের (১৪৮৬-১৪৮৯) এক সেনাপতি মজলিস খান হুমায়ুন তার কামরূপ অভিযান কালে এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। ষোল শতকের শেষ দিকে বারো ভূঁইয়াদের উত্থানকালে এ দুর্গ বোকাইনগর দুর্গের অধিপতি উসমান খানের মিত্র নাসির খান ও দরিয়া খানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৬১১ খ্রিস্টাব্দে নাসির খান ও দরিয়া খান মুগলদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। কিছুদিন দুর্গটির কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রণ করার পর উসমান খানও পলায়ন করেন এবং মুগলদের হাতে দুর্গটির পতন ঘটে। এর পর এটি মুগলদের স্থানীয় প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছিল।
বর্তমানে দুর্গটির কাঠামোগত কোনো অস্তিত্ব নেই। সমস্ত এলাকাটিই এখন ধানক্ষেতে পরিণত হয়েছে। তবে দুর্গের দেওয়ালের একটি অংশ এবং তার আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ইট ও ভাঙা মৃৎপাত্রের টুকরা এখনও দেখতে পাওয়া যায়। ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখানদীর প্লাবনে দুর্গপ্রাচীরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে আকস্মিকভাবে দুর্গের একটি ইটের কাঠামো দৃষ্টিগোচর হয়। উন্মোচিত কাঠামোটি প্রায় ৪.৫৭ মিটার উঁচু, ভিত্তিতে এর প্রশস্ততা প্রায় ৯.১৪ মিটার এবং উপরের দিকে এটি ক্রমশ সরু হয়ে গেছে।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া [সংগ্রহে: সুমন আহাদ]

‘বীরঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ১০ জন গুণী

‘দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড কমিটি’র উদ্যোগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগের ১০ গুণীজনকে ‘বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০১৪
’ প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ পৌরসভার শহীদ সাহাব উদ্দিন মিলনায়তনে গুণীজনদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তোলে দেয়া হয়।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তগণ হলেন-
১.সমাজসেবায় অবদানের জন্য ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু, গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল মান্নান, কেন্দুয়া নিঝুম পার্কের প্রতিষ্ঠাতা ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ লতিফ আহমেদ খান;
২.শিল্পকলা, শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য গৌরীপুরের ছড়াকার আজম জহিরুল ইসলাম, নান্দাইলের কবি আবদুল হান্নান ইউজেটিস,
৩.ভাষা ও সাহিত্যে কেন্দুয়ার নাট্যকার শফিকুল ইসলাম খান,
৪.গবেষণায় গৌরীপুরে কৃষি যন্ত্রপাতির উদ্ভাবক আব্দুল্লাহ কেনু মিস্ত্রী,
৫.সাংবাদিকতা ও আলোকচিত্রে অবদানের জন্য গৌরীপুরের প্রবীণ সাংবাদিক ও অধ্যাপক কাজী এমএ মোনায়েম, গৌরীপুরের মফস্বল সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন শাহীন এবং নিউজবাংলাদেশ.কমের গৌরীপুর উপজেলা সংবাদদাতা রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ডিন পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর আব্দুর রশীদ। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ।

সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ফজর আলীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু, নেত্রকোনা এমআইএসটির অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এমএ জিন্নাহ। ফ্লোরেন্সের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার।

ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত গৌরীপুর উপজেলাধীন ৪নং মাওহা ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রামে শায়িত বাংলার ঐতিহাসিক ঈশা খাঁর দৌহিত্র ফিরোজ খাঁর সহধর্মিনী ও উমর খাঁর একমাত্র কন্যা বাংলার বীরঙ্গনার নারী সখিনা। তার স্মরণে বীরঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-এর আয়োজন।

Contact for ad